পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০ ব্যাংক তাদের অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি’১৯-জুন’১৯) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী মাত্র ৫ ব্যাংক ছাড়া সবগুলোরই ইপিএস বৃদ্ধি পেয়েছে। তালিকাভুক্ত ৩০ ব্যাংকের মধ্যে ২৫ ব্যাংকের পজেটিভ গ্রোথ হয়েছে। আর বেশিরভাগ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিকে এরকম ভালো পারফরমেন্স বাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, অর্ধবার্ষিকে এবি ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, এনবিএল, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এবং ব্রাক ব্যাংক এই ৫ ব্যাংকের গ্রোথ নেগেটিভ হয়েছে। বাকি ২৫ ব্যাংকের পজেটিভ গ্রোথের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে এক্সিম ব্যাংক। এরপরেই আইএফআইসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের অবস্থান।

নিম্নে তালিকাভুক্ত প্রতিটি ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনের পারফরমেন্স তুলে ধরা হলো:

এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.১৩ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৩৩০.৭৭ শতাংশ।

আইএফআইসি

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৩৯ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১৫৮.৯৭ শতাংশ।

ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৯৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৪২ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১২৬.১৯ শতাংশ।

উত্তরা ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৫০ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.৩৫ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৮৫.১৯ শতাংশ।

ট্রাস্ট ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৭ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৯৮ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৮০.৬১ শতাংশ।

সাউথইষ্ট ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.২৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.৩৭ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৬৪.২৩ শতাংশ।

প্রিমিয়ার ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৩৪ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৮৪ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৫৯.৫২ শতাংশ।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.২৪ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৯২ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৩৪.৭৮ শতাংশ।

সিটি ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৯১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.৪৪ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৩২.৬৪ শতাংশ।

এনসিসি ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৩১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৩১ শতাংশ।

প্রাইম ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৯০ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৭০ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৮.৫৭ শতাংশ।

ওয়ান ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৪০ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৭.৫০ শতাংশ।

ইবিএল

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৯৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.৫৫ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৫.৮১ শতাংশ।

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৪২ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২১.৪৩ শতাংশ।

ডাচ বাংলা ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৮৩ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ৩.২৫ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১৭.৮৫ শতাংশ।

যমুনা ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৮ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.৫২ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১৭.১১ শতাংশ।

ইউসিবি

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.১৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.০৫ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ।

ইসলামী ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.০৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.৮৮ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৯.০৪ শতাংশ।

ঢাকা ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৭০ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৮.৫৭ শতাংশ।

আইসিবি ইসলামী ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২৯ টাকা (নেগেটিভ) । যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৩১ টাকা (নেগেটিভ) । অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৬.৪৫ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৯ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.৬৯ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৫.৯২ শতাংশ।

এসআইবিএল

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৯ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৩৭ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৫.৪১ শতাংশ।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি)

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৪১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.৩৬ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৩.৬৮ শতাংশ।

পূবালী ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.১৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ২.১১ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২.৩৭ শতাংশ।

ব্যাংক এশিয়া

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ১.০৪ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১.৯২ শতাংশ।

ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.০৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ২.১৭ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ৫.৫৩ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৯ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.১০ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ১০ শতাংশ।

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড (এনবিএল)

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৪২ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৫০ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ১৬ শতাংশ।

রূপালী ব্যাংক

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২৮ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৩৫ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ২০ শতাংশ।

এবি ব্যাংক লিমিটেড

অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.১৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময় শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৩৯ টাকা। অর্থাৎ অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ৬১.৫৪ শতাংশ।

বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু ব্যাংক খাত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের প্রথম নির্ভরযোগ্য খাত, তাই এ খাতের ভালো-খারাপের ওপর পুঁজিবাজারের উত্থান-পতন অনেকটা নির্ভর করে। এবারের অর্ধবার্ষিকে ব্যাংকগুলোর পারফরমেন্স বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। বেশিরভাগ ব্যাংকের আয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে যা সামগ্রিক পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।