সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন চলছে। এদিন লেনদেনের শুরুতে কিছুটা উত্থান থাকলেও পরবর্তীতে সৃষ্ট বিক্রয় চাপে টানা নামতে থাকে সূচক। মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারের প্রকৃত বিনিয়োগকারী কমে যাচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল অবস্থানে রাখা যাদের দায়িত্ব, বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ না করে ট্রেডিং বিনিয়োগে ঝুঁকছেন। এখানেই বড় সমস্যা। তাহলে কীভাবে বাজার গতিশীল হবে? কয়েক বছর ধরে বাজারে তারল্য ও আস্থার সংকট চলছে। এখন ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। যদি ভালো মানের মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ডসহ আরও বিভিন্ন ধরনের পণ্য থাকত, তাহলে যখন শেয়ারের দর কমে গেলে ওইসব পণ্যে বিনিয়োগ করে বাজার স্থিতিশীল রাখা যেত বলেও মনে করছেন ওই বিশ্লেষকরা।
এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৬.৯৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫০০৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৬৭.৭২ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭৬১ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩২২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫টির, দর কমেছে ১৬৫টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৫২টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৩৫ কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস একই সময় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫০৭২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১৭৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭৮৯ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১৮০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৬.৫০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৩০৮.৮১ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৬৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, দর কমেছে ৯৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৪৯ টাকা।
ধন্যবাদ