সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই ক্রয় চাপে টানা বাড়তে থাকে সূচক। রোববার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় স্বাভাবিক গতি। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৬২ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে পুঁজিবাজার অবমূল্যায়িত অবস্থায় রয়েছে। আর দীর্ঘমন্দায় তলানিতে থাকা পুঁজিবাজারে আজ ব্যাংকের বিনিয়োগ আসার কথা রয়েছে। এমন খবরে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও কিছুটা সক্রিয় হয়েছেন। তবে এটা কতক্ষণ স্থায়ী হয় সেটাই দেখার বিষয়। পুঁজিবাজারে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুনছেন। শুধু বিনিয়োগকারীই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না সার্বিক বাজার চিত্রও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এটি আসলে বাজারের জন্য ভালো নয়। বাজার যে গুজবনির্ভর, তা বাস্তবেই দেখা যাচ্ছে। যেখানে কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য আগে থেকেই ফাঁস হয়ে যায়, সেখানে বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পাবেন কীভাবে। আর এ জন্যই প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক থাকা সত্ত্বেও পুঁজিবাজারের কোনো পরিবর্তন তথা প্রোপার ওয়েতে এগুচ্ছে না বলেও মনে করছেন তারা।

এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫০৩১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১৭০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭৬৫ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৪০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৪টির, দর কমেছে ১০৫টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৬১টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৬১ কোটি ৬৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

অথচ এর আগের কার্যদিবস দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫০২৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১৬৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৭৬৩ পয়েন্টে। এ সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৫৮ কোটি ১৫ লাখ ৭ হাজার টাকা।