সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান থাকলেও কিছুক্ষণ পর সৃষ্ট বিক্রয় চাপে টানা নামতে থাকে সূচক। রোববার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে সরকারের নানামুখী প্রচেষ্টার পরও মন্দা দশা কাটছে না। মূলত ব্যাংক খাতের সংকট এখন পুঁজিবাজারে দেখা দিয়েছে। এ কারণে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। ব্যাংক সেক্টরে টাকার সংকট, সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদ এবং ডলারের বাজারের অস্থিতিশীলতার প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনিয়োগারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্রোকাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই বাজারে কেউ ক্ষতির বাইরে নয়। ব্রোকারদের অনেকে পুঁজি ভেঙে খাচ্ছেন। ফলে বাজারে নতুন কোন বিনিয়োগ আসছে না বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।

এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৭৮৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১০৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬৯৩ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩২৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, দর কমেছে ১৮৭টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৫৯টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১২৩ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস ১২টায় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪৮২৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১১৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭০৮ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১২৬ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৮৫৩ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৪৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, দর কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।