সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে চলছে লেনদেন। এদিন শুরুতে উত্থান থাকলেও কিছুক্ষণ পর সৃষ্ট বিক্রয় চাপে টানা নামতে থাকে সূচকে। রোববার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের জন্য নির্ভরযোগ্য স্থান পুঁজিবাজার বা স্টক এক্সচেঞ্জ। ছোট-বড় বিনিয়োগকারীও তাই পুঁজিবাজারের মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করেন। বিভিন্ন কোম্পানি মূলধন সংগ্রহ করতে ছোট অথবা বড় শেয়ার ছাড়ে এবং বিনিয়োগকারীরা তা কিনে মুনাফা সংগ্রহ করেন। আর এ কাজ যে প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন করে সেটিই স্টক এক্সচেঞ্জ। আমাদের দেশে বড় দুটি পুঁজিবাজার হচ্ছে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী এখানেই টাকা বিনিয়োগ করেন। তবে লাভের আশায় বিনিয়োগ করলেও সম্প্রতি দরপতনের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিন পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। সর্বস্বান্তও হয়েছে অনেকে। এই পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও মনে করছেন ওই বিশ্লেষকরা।
এদিকে, আজকের দুপুরের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫০৭২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৭৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭৮৯ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, দর কমেছে ২০৪টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৪৩টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি ১৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস একই সময় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫১৩৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১৯০ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৮১৩ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১৬৫ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৪২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬টির, দর কমেছে ৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।