পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ফোরাম বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) বোনাস লভ্যাংশ এবং রিটেইনড আর্নিংস (অবণ্টিত মুনাফা) এর উপর কর আরোপের প্রস্তাব পুনঃবিবেচনা করার অনুরোধ করেছে। আজ রোববার বিএপিএলসি’র সভাপতি আজম জে চৌধুরী এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে লেখা এক চিঠিতে এই অনুরোধ করেন। বিএপিএলসি ও এনবিআর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ, গত ১৩ জুন, বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন। এতে বিভিন্ন সেক্টরের পাশাপাশি পুঁজিবাজারের জন্যও কর বিষয়ক কিছু প্রস্তাব করা হয়। এরই একটি হচ্ছে রিজার্ভ ও রিটেইনড আর্নিংস (অবণ্টিত মুনাফা) এর উপর কর বসানোর প্রস্তাব। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, একটি আয়কর বছরে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির রিজার্ভ, রিটেইনড আর্নিংস (অবণ্টিত মুনাফা) ইত্যাদির সমষ্টি তার পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হলে বাড়তি অংশের জন্য ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এছাড়া স্টক ডিভিডেন্ড এর উপরও ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়।

এর প্রেক্ষিতে আজ বিএপিএলসি চিঠি দিয়ে ওই দুই প্রস্তাবের প্রতি তাদের আপত্তি জানায়। চিঠিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের লাভজনক কোম্পানিগুলো শুধু আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করে নয়,  ভবিষ্যত বিনিয়োগের জন্য রিটেইন আর্নিংস  ও রিজার্ভ আকারে অর্থ জমা দেশে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। প্রতি বছর মুনাফার উপর কর দেওয়ার পরই কেবল একটি অংশ রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়। তাই রিজার্ভের উপর কর আরোপ অন্যায্য।

অন্যদিকে বোনাস শেয়ারের উপর কর আরোপের বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি বিএসইসির সংশ্লিষ্ট নোটিফিকেশন (বিএসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/২২২/এডমিন/৯১, তারিখ ২৩ মে, ২০১৯) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ওই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, যে কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে, বিশেষ করে কারখানার বিএমআরই এর জন্য অর্থ ব্যয় দেখিয়ে বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে। তাই বোনাসে কর আরোপের প্রস্তাবটি পুনঃবিবেচনা করা দরকার।