সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই ক্রয় চাপে টানা বাড়তে থাকে সূচক। বুধবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সূচক ৫৯৯২ থেকে ৫১৭০ নেমেছিল। অর্থাৎ ৮২২ পয়েন্ট পড়েছে। বর্তমানে সূচক রয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে। আশা করি সামনে সূচক বাড়বে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দুই ধরনের বিনিয়োগকারী রয়েছে। এক ধরনের বিনিয়োগকারী মনে করে বাজার সবসময় বাড়বে। যেমন বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে প্রণোদনা থাকবে তখন বিনিয়োগকারীরা মনে করে বাজার ভালো হবে, আবার যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটরি পলিসি ইতিবাচক হয়, তাহলে বাজার ইতিবাচক হবে। আর প্রতি বছর বাজেটেই পুঁজিবাজার নিয়ে প্রত্যাশা থাকে। তবে এবার বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে কিছু প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সেটা হয়তো সরকার বিবেচনা করবে। আর পুঁজিবাজারের স্বার্থে এটা বিবেচনায় নেয়া জরুরি। কাজেই বাজার নিয়ে অযথা চিন্তা করার কিছু নেই বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলেও ধারনা তাদের।

এদিকে, আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৪০৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৩৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯০৬ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৪৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৬টির, দর কমেছে ৯৫টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৬৫টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৭৭ কোটি ১৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস একই সময় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৩৯১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১২৩২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮৯৭ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১৬১ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ২৪ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৯৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির, দর কমেছে ৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।