দফার পর দফা বেড়েই চলছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের সুতার উৎপাদন ও কারখানা বন্ধ রাখার মেয়াদ। এরই অংশহিসেবে পঞ্চম দফায় কারখানা বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, উৎপাদিত সুতা বিক্রির কোনো উন্নতি না হওয়ায় গেল ৯০ দিন ধরে আলহাজ্ব টেক্সটাইলের কারখানা বন্ধ রয়েছে। কোম্পানির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে এর উৎপাদন চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উৎপাদিত মজুদ সুতা বিক্রির কোনো উন্নতি না হওয়ায় আরও ১৫ দিন অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে চলতি মূলধনের (Working Capital) তীব্র সঙ্কট, বাজারে পণ্যের চাহিদা না থাকা ও বর্তমানে গুদাম মজুদ পণ্যে পরিপূর্ণ থাকায় নতুন পণ্য রাখার জায়গার অভাবে প্রথম দফায় গত ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই অর্থাৎ এক মাস কারখানাটি বন্ধ ছিলো। সেখান থেকে দ্বিতীয় দফায় ২৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ও তৃতীয় দফায় ২৪ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ থাকার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর চতুর্থ দফায় ৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫দিন কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
মূলত সমস্যাগুলোর সমাধান করে, বিশেষ করে চলতি মূলধনের ঘাটতি দূর করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে বিক্রি কমে গেছে। পাশাপাশি গুদামে মজুদ করা পণ্য রাখার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তার ওপর যোগ হয়েছে চলতি মূলধন সংকট। সব মিলিয়েই পর্ষদ আরও ১৫ দিনের জন্য কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে যদি চলতি মূলধন সংকট কেটে যায়, তাহলে কারখানা চালু করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১ পয়সা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৮ পয়সা। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পাটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৩ পয়সা, যেখানে ২০১৭-এর জুলাই থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ইপিএস ছিল ৪২ পয়সা। ৩১ মার্চে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১০ টাকা ৮৩ পয়সা, যা আগের বছরের ৩০ জুনে ছিল ১২ টাকা ৩৮ পয়সা।