পুঁজিবাজারের চলমান অব্যাহত দরপতনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হওয়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করবে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। বেলা ১১টায় এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, অব্যাহত দরপতনের কবলে পড়ে বিনিয়োগকারীরা প্রতিদিন পুঁজি হারাচ্ছেন। পুঁজি হারিয়ে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হচ্ছেন। দরপতনের প্রতিবাদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভও করতে পারছেন না। মামলা করে ডিএসই আমাদের বিক্ষোভ করতে দিচ্ছে না। পুঁজিবাজারের এখন যে অবস্থা তাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করা যাবে না।
তিনি জানান, সংবাদ সম্মেলনে পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীলতা আনয়ন, টানা ধসের কারণ অনুসন্ধান, কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুনর্গঠনসহ বেশ কিছু দাবি জানানো হবে।
এর আগে দরপতনের প্রতিবাদে দিনের পর দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করায় গত ২৭ আগস্ট ডিএসইর পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, ২৭ আগস্ট আনুমানিক দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশ পুঁজিবাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ৯/১০ জন লোক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের সামনে ব্যানার ও মাইকসহ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করে। যার ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মানিত সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াত এবং অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পাদনে বিঘ্ন ঘটে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বেশ কিছুদিন যাবত তারা এ ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছে এবং পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্পর্কে সম্মান হানিকর মন্তব্য করছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ মনে করে, এ ধরনের কার্যকলাপ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ পুঁজিবাজারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। ফলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে- বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই জিডি করার পর বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১৫ অক্টোবর আবার ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। পরদিন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি অভিযোগ করেন, মতিঝিল থানার ওসি তাদের ডেকে নিয়ে গিয়ে মতিঝিল অঞ্চলে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করতে নিষেধ করেছেন।