পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ডিএসই ব্রোকারর্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও শীর্ষ ২০ ব্রোকার এই বৈঠকে অংশ নেবে। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩ টায় বিএসইসিতে বেঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, চলতি বছরে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমতে থাকে। গত তিন মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬০০ পয়েন্টের বেশি কমেছে। সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও ব্যাপকভাবে কমে গেছে। গত ২৪ জানুয়ারি ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ৯৫০ পয়েন্ট। এটি কমতে কমতে গত ২৫ এপ্রিল ৫ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে নেমে আসে।

অন্যদিকে গত ২৪ জানুয়ারি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছির ১ হাজার ৩৭ কোটি টাকা। গত ২৫ এপ্রিল ডিএসইতে লেনদেন হয় মাত্র ৩৮২ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার। গত জানুয়ারি মাসে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন ৬শ কোটি টাকার বেশি থাকলেও এপ্রিলে তা ৪শ কোটি টাকার নিচে নেমে আসে। সূচক পতনের চেয়ে বাজারে ব্যাপকভাবে লেনদেন কমে যাওয়ার বিষয়টিকে বেশি উদ্বেগজনক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই পরিমাণ লেনদেন হলে কমিশন আয় থেকে বেশিরভাগ ব্রোকারহাউজের পক্ষে তাদের দৈনন্দিন ব্যয়ের টাকা তুলে আনা সম্ভব নয়।

টানা দরপতনে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করে। বাজার স্থিতিশীলতায় ফেরানোর দাবীতে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় এবং ডিএসইর সামনে বেশ কয়েকদিন বিক্ষোভ করেছে।

বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে খোদ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল গত সপ্তাহে সরকারি ছুটির দিনে বিএসইসির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। তিনি জানান, সরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়নে যথেষ্ট আন্তরিক।
এর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কিছু আর্থিক প্রণোদনা থাকবে। তিনি বিএসইসিকে বাজার উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে লিখিত প্রস্তাবনা পাঠানোর পরামর্শ দেন।

Source: Arthosuchak