উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে চলে দর পতন। কিন্তু নিয়মিত পতন বা উত্থান উভয়ই স্বাভাবিক নয়। সম্প্রতিক সময়ের দর পতনকেও স্বাভাবিক বলছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে, সোমবারের পুঁজিবাজারের বড় দর পতন ত্বরান্বিত করেছে টেলিকমিউনিকেশন খাতের গ্রামীণফোন।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৬ কার্যদিবস যাবত ধারাবাহিক দর পতনে ভুগছে পুঁজিবাজার। কিন্তু সোমবার পুঁজিবাজারের দর পতনের গতি আরো বেড়ে যায়। দিনশেষে ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮৮.০১ পয়েন্ট। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে স্থিতি পেয়েছে ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গ্রামীণফোন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের অর্ধবর্ষ শেষে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯০ শতাংশ অন্তবর্তীকালী ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণফোন। অর্থাৎ কোম্পানিটি প্রতিটি ১০ টাকার শেয়ারে ৯ টাকা নগদ ডিভিডেন্ড পাবে বিনিয়োগকারীরা। এসময় কোম্পানিটি কর পরবর্তী মুনাফার ৬৭ শতাংশ বন্টন করবে।
কিন্তু আগের বছরের একই সময় অর্থাৎ ২০১৭-১৮ সালের অর্ধবর্ষ শেষে কোম্পানিটি ১২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছিল। অর্থাৎ ওই সময় কোম্পানিটি তাদের মুনাফার ৯৮ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। হঠাৎ ডিভিডেন্ড কমায় সোমবার বড় দর পতনে ভুগেছে টেলিকমিউনিকেশন খাতের কোম্পানিটি। দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৫.৮৬ শতাংশ বা ২০.২ টাকা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার বিগত এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩২২.৮০ টাকায় নেমে এসেছে। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার সর্বনিম্ন ৩২২.৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৪৪.৮০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে কোম্পানিটির সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৩২৪.৪০ টাকা।
তথ্য বিশ্লেষণে আরো দেখা যায়, সোমবার গ্রামীণফোনের শেয়ারের বিক্রয় চাপ ও দর পতনে সূচক কমেছে ৪৩.৩৬ পয়েন্ট। এদিকে, বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দর পতনে সূচক কমেছে ৫.৫৯ পয়েন্ট। বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের ইউনাইটেড পাওয়ারের দর পতনে সূচক কমেছে ৪.৮৪ পয়েন্ট।
এসময় সূচক পতনকে ত্বরান্বিত করেছে- স্কয়ার ফার্মা, আইসিবি, অলেম্পিক, ব্র্যাক ব্যাংক, রেনেটা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।