শেয়ারবাজারে কোম্পানির লেনদেনের প্রথমদিনেই শেয়ার দরে হ্রাস-বৃদ্ধির সীমা (সার্কিট ব্রেকার) দিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রস্তাবের আলোকে কমিশন খুব শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। কমিশন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি ডিএসই কর্তৃপক্ষ কোম্পানির লেনদেনের প্রথমদিনে সার্কিট ব্রেকার চেয়ে কমিশনে প্রস্তাব করে। এক্ষেত্রে তারা লেনদেনের প্রথম ২দিন ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার চেয়েছেন। এরপরে যথানিয়মে ১০ শতাংশ করে সার্কিট ব্রেকার থাকবে।

ডিএসইর এই প্রস্তাবকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে কমিশন। যাতে বিষয়টি চলতি সপ্তাহের কমিশন সভায়ও চূড়ান্ত করা হতে পারে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিজনেস আওয়ারকে বলেন, লেনদেনের প্রথমদিনে কোম্পানির শেয়ারে অস্বাভাবিক উত্থান হয়। যাতে ওই অস্বাভাবিক উত্থান স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। এতে একটি পক্ষ লাভবান হলেও আরেকটি পক্ষকে লোকসান গুণতে হয়। ফলে ডিএসইর প্রস্তাবকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। যদিও ডিএসইর প্রস্তাবের বিরোধীতা করে কিছু বিনিয়োগকারী কমিশনে সাক্ষাত করেছে। তারা মূলত আইপিও ব্যবসায়ী। তবে কমিশন তাদের কয়েকজনের স্বার্থের জন্য পুরো শেয়ারবাজারের স্বার্থকে বিসর্জন দেবে না।

প্রস্তাবিত সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ি, একটি ১০ টাকার শেয়ার লেনদেনের প্রথমদিন সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বা ৫ টাকা বেড়ে ১৫ টাকা হতে পারবে। আর ২য় দিন ওই ১৫ টাকার উপরে ৫০ শতাংশ বা ৭.৫০ টাকা বেড়ে ২২.৫০ টাকা হতে পারবে। ফলে আগামিতে ১০ টাকার শেয়ার লেনদেনের প্রথমদিনে অযৌক্তিকভাবে ৭০-১০০ টাকা হওয়ার সুযোগ থাকবে না।